SEO A to Z
আমাদের আগের ব্লগে আমরা SEO এর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছি এই ব্লগে আমরা এসইও সম্পর্কে আরও আলোচনা করব যেমন সংজ্ঞা, প্রকার, অ্যাপ্লিকেশন, টেকনিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য I
আমার প্রথম প্রশ্ন; আপনি Google আছেন? মানে, আপনার ওয়েবসাইটটি কি গুগলে পাওয়া যাবে?


এসইও কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করার আগে আমাদের আরও কয়েকটি জিনিস জানা উচিত I
- Index বা সূচক: গুগল Index যে কোনও বইয়ের Index এর মতো। সূচীপত্র বইয়ের বিষয়বস্তুর তালিকা, যে কেউ সহজেই প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠাটি খুঁজে পেতে পারে। গুগল Index এ সমস্ত ওয়েবপৃষ্ঠার তালিকা রয়েছে। যদি আপনার ওয়েবসাইট গুগলে Index না হয় তবে এটি কখনই google search result এ আসবে না। গুগলে কীভাবে ওয়েবসাইটকে ইনডেক্স করতে হয় সে সম্পর্কে আমি একটি ইউটিউব টিউটোরিয়াল তৈরি করেছি; আশা করি এটি আপনাকে গুগলে আপনার ওয়েবসাইটকে ইনডেক্স করতে সহায়তা করবে। ভিডিওটি দেখতে এই লিঙ্ক এ ক্লিক করুন How to Index your website at Google. Google Index সম্পূর্ণ ফ্রী।
- Crawl: ক্রল হ’ল ওয়েব পৃষ্ঠাগুলির তথ্য সংগ্রহ করার একটি প্রক্রিয়া যা ইন্টারনেটে প্রকাশিত হয়েছে বা গুগলে ইনডেক্সড করার জন্য জমা দেওয়া হয়েছে।
- Crawler: স্বয়ংক্রিয় সফ্টওয়্যার যা ওয়েব থেকে পৃষ্ঠাগুলি ক্রল (Crawl) করে এবং সেগুলি Index বা সূচক করে। এটি স্পাইডার বা স্পাইডারবট নামেও পরিচিত। গুগল Search index এ শত শত বিলিয়ন ওয়েব পৃষ্ঠা রয়েছে এবং এটি ১০০,০০০,০০০ গিগাবাইট আকারেরও বেশি।
- Googlebot গুগলবোট : গুগলের ক্রলারের জেনেরিক নাম। গুগলবোট ক্রমাগত ওয়েব ক্রল করে।
- SEO: সার্চ ইঞ্জিনগুলির (গুগল, মাইক্রোসফ্ট বিং, ইয়াহু, বাইদু, ইয়ানডেক্স, ডাকডকগো, জিজ্ঞাসা.কম, ইকোসিয়া) জন্য আপনার সাইটকে আরও ভাল করার প্রক্রিয়া। SEO কাজের নাম হিসাবেও ব্যবহৃত হয়।
গুগলে আপনার ওয়েব ডোমেন অনুসন্ধান করুন যেমন Sultanee.com টাইপ করুন এবং এন্টার টিপুন; যদি আপনার ব্রাউজারটি নীচের চিত্রের মতো দেখায় তবে এর অর্থ এই ওয়েবসাইটটি ইতিমধ্যে গুগলে index করা। নো ইনবক্স নো রেজাল্ট ।


এসইও এর জন্য এখন আসল বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যাক; আপনি ওয়ার্ডপ্রেস বা এইচটিএমএল যাই দিয়ে ওয়েবসাইট বানান না কেন আপনাকে অবশ্যই এই চারটি পয়েন্ট এড করতেই হবে : টাইটেল, ডেসক্রিপশন, অথর এবং কীওয়ার্ড এগুলোকে মেটা ডাটা বলা হয়।
- Title: টাইটেল হল ওয়েবসাইটের নাম। আপনার ওয়েব ব্রাউজারের ট্যাবটি লক্ষ্য করে দেখুন, আপনি একটি নাম দেখতে পাবেন। এটা সার্চ ইঞ্জিন এর ক্ষেত্রে প্রথমেই নীল রঙের অনেক বড় আকার ফন্টে লেখা থাকে।
- Description: ডেসক্রিপশন হচ্ছে আপনার এই পেইজটি কি সম্পর্কিত সেই বর্ণনা যেটা সার্চ ইঞ্জিনের টাইটেলের ঠিক নিচের অংশে থাকে
- Author: অথর বলতে বুঝায় যিনি এই এই কনটেন্টটি লিখেছেন অথবা বলতে পারেন ওউনার।
- Key Word: কীওয়ার্ড মূলত একটি শব্দ বা একাধিক শব্দ যেটা সার্চ ইঞ্জিনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আপনি যখন কোন সেন্টেন্স লিখে সার্চ করেন তখন ওই সেন্টেন্স এর প্রত্যেকটি ওয়ার্ড কে এক একটি কীওয়ার্ড হিসেবে সার্চ ইঞ্জিন চিন্তা করে এবং ওই কীওয়ার্ড গুলো গুগোল ইনডেক্স এ যত ওয়েবসাইট রয়েছে তার প্রত্যেক প্রত্যেকটার মধ্যে সেই কীওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে। কীওয়ার্ড কয়েক ধরনের সিঙ্গেল কীওয়ার্ড, ফ্রেজ কীওয়ার্ড, লং টেইল কীওয়ার্ড। হাই রেংকিং এবং লো কম্পিটিশন কীওয়ার্ডএর জন্য গুগল কীওয়ার্ড প্লানার ব্যবহার করতে পারেন, এটা সম্পূর্ণ ফ্রী।


ঠিক একই ভাবে আপনার ওয়েবসাইটে যত ইমেজে, ভিডিও, গ্রাফ আপনি ব্যবহার করছেন প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই টাইটেল ডেসক্রিপশন কীওয়ার্ড এবং অথর রয়েছে। চলুন দেখি আপনি ওয়েব সাইটে এবং ইমেজের ক্ষেত্রে কিভাবে এই মেটা ব্যবহার করবেন। দুটি আলাদা পদ্ধতি, ইমেজ এ মেটা অবশ্যই ওয়েবসাইটে আপলোড করার পূর্বে এপ্লাই করে নিতে হবে।
ওয়েবসাইটে মেটা ব্যবহার করতে হয় HTML, index.html বা যে পেইজে আপনি ব্যবহার করেন না কেন সেই পেইজের হেড এর মধ্যে এই মেটা ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে I মেটা অনেক ধরনের হয়ে থাকে আপনি যদি ভাল রাঙ্কিং পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই চারটা মেটা ব্যবহার করতে হবে I নিচে একটি ইমেজ দেয়া হয়েছে, যেখানে আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে মেটা কিভাবে ব্যবহার করা হয়েছে এই ওয়েবসাইটটি কে গুগলে রেঙ্ক করানোর জন্য –


আর যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে থাকেন তাহলে Yoast SEO – WordPress প্রিমিয়াম প্লাগিনটি ব্যবহার করতে পারেন এবং কনটেন্ট লিখার ক্ষেত্রে নিচের পয়েন্ট গুলো গ্রীন হওয়াটা জরুরী ভালো হয়েছিল SEO Score এর জন্য I


ঠিক একই ভাবে আপনার ওয়েবসাইটে যত ইমেজে, ভিডিও, গ্রাফ আপনি ব্যবহার করছেন প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই টাইটেল ডেসক্রিপশন কীওয়ার্ড এবং অথর রয়েছে I ইমেজে ফাইল রিনেম করে একটি নাম টাইপ করুন যেটা টাইটেল হিসেবে ব্যবহার হবে I তারপরে ডিটেইলস এ ক্লিক করে নিচের মত করে Title, Subject, Rating, Tags, Comments, Authors, Date Taken and Copyright পরিবর্তন করে এপ্লাই বাটনে ক্লিক করুন I মনে রাখবেন অবশ্যই ফাইল ওয়েবসাইটে আপলোড করার পূর্বে এই কাজটি করতে হবে I


যদি উপরের সবগুলো ফর্মুলা ব্যবহার করে থাকেন তাহলে চিন্তার কিছু নেই, এখন আপনার শেষ কাজ আপনার ওয়েবসাইট কে এসইও অডিট করে দেখা; যে সব ঠিক আছে কিনা যদি না থাকে সে অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তীতে পরিবর্তন নিয়ে আসা I
You can use google’s free audit tool like web.dev.measure and PageSpeed Insights but remember you might not get 100% score at the very first time you do the SEO yourself. It Needs time to be an expert keep paitence and focus on doing the rigth things.
আপনি যদি এই ব্লগটি পছন্দ করেন দয়া করে শেয়ার করতে ভুলবেন না