Job or Livelihood?
Which one is important and required? Many of us already know that Livelihood is most important but still waiting for a job to make their livelihood though they have other options to earn their livelihood.
দেশের কতভাগ মানুষ জীবিকার জন্য চাকুরী করে তা কি আপনার জানা আছে? ২০১৬ সাল এর তথ্য অনুযায়ী মাত্র ৬ কোটি ৮ লক্ষ্য মানুষ জীবিকার জন্য চাকুরী করে। এবং সর্বশেষ ২০১৯ সালে যা ছিল মোট জনসংখ্যার ৪০.৩৮% । আপনারা ভাবছেন আজকের ব্লগ কি শুধু তথ্য উপাত্তের উপর না কি অন্য কিছু?
আমার আজকের প্রশ্ন পাঠকদের কাছে যে আমাদের দেশের ছাত্র সমাজ জীবিকার জন্য সর্বপ্রথম কি চিন্তা করে বা আমাদের মানুষ আসলেই জীবিকা বলতে কি শুধু চাকুরী ই মনে করে। প্রশ্ন হচ্ছে কেন?
উত্তর সবার জানা, আপনারা ও আমার সাথে একমত হবেন, আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, সামাজিক মূল্যবোধ যা আমাদের ডি এন এ’র মধ্যে গেঁেথ দেয়া হয়েছে খুব পরিকল্পিতভাবে। ব্রিটিশ শাষনামলে আমাদের কে শিখানো হয়েছে সম্ভ্রান্ত ও সুশিল সমাজের লোকেরা চাকুরী করে আর যারা কৃষিকাজ করে তাদের কে ছোটলোক, গরিব, চাষাপোষা ও অজ্ঞ ইত্যাদি মনে করা হয়।
এমনকি আমাদের দেশের নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও বাণিজ্য নামের বিভাগের শিক্ষার্থীদের শিখানো হয় কত ভালোভাবে পড়লে ভালো চাকুরি পাওয়া যাবে। অর্থ্যাৎ স্টুডেন্টসরা বিজনেস শিখে চাকুরী করার জন্য, নিজে বিজনেস করার জন্য নয়।
মধ্যবিত্ত পরিবারের কোন সন্তান যদি চাকুরীর পরিবর্তে ভিন্নধর্মী কোন কিছু করার চিন্তা করে, তবে পরিবারের বাকি লোকেদের মধ্যে নানা রকম ধারণা তৈরী হয়। পরিবারের প্রধানের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরে ব্যাপারটা অনেকটা এরকম। কিন্তু কেন? আজকে আমি ঐ বিষয়ে কোন আলোচনা করব না বরং আজকে এমন কিছু তথ্য দিব যা আমাদের দেশের যুবসমাজের কাজে আসবে চাকুরীরর বিকল্প হিসাবে জীবিকা নির্বাহ করতে।
প্রথমে ক্লিয়ার হওয়া প্রয়োজন আমাদের আসলে প্রয়োজনটা কি চাকুরী না জীবিকা। অবশ্যই জীবিকা যেটা হালাল ও দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী বৈধ্য। তাহলে চলেন শুরু করা যাক এক এক করে চাকুরীরর বিকল্প পন্থা পর্যালোচনা।
ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং বলতে আমরা অনেকেই মনে করি অনলাইনে বা কম্পিউটার ব্যবহার করে কাজ করা। এটা সম্পূর্ন ভুল ধারনা। যেমন ধরেন একজন চিকিৎসক হাসপাতালে চাকুরী করেন এবং তার অবসর সময়ে নিজস্ব একটি চেম্বারে বসে রুগি দেখেন।
এখানে নিজস্ব চেম্বারে বসে রুগি দেখার কাজটি কে আপনি কি বলবেন? পেশাজীবি তাই নয় কি? ঐ চিকিৎসক যদি টেলিফোনের মাধ্যমে বা জুম ব্যবহার করে চিকিৎসা প্রদান করেন তখন কি বলবেন? পেশাজীবি না ফ্রিল্যান্সার?
আরেকটি উদাহরন দেই আমারা বাসায় রান্নার জন্য গ্যাসের চুলা ব্যবহার করি কোন কারনে যদি গ্যাসের চুলা কাজ না করে তখন আমরা মেকানিক খুজি তাই না। অনেক সময় পরিচিতজনদের কাছ থেকে নাম্বার নেই এবং মেকানিক বাসায় এসে চুলা মেরামত করে দিয়ে যায়। এই মেকানিক যদি অন্যের দোকানে কাজ করে তাহলে তার পেশা চাকুরী আর যদি কারো অধিনে কাজ না করে স্বতন্ত্রভাবে কাজ করে তাহলে পেশাজীবি।
এখন ধরে নেয়া যাক ঐ মেকানিক এর একটি অনলাইন সাইটে কন্টাক ডিটেলস দেয়া আছে এবং তাকে ফোন দিলে সে বাসায় এসে সার্ভিস প্রোভাইড করে তখন তাকে কি বলবেন? পেশাজীবি না ফ্রিল্যান্সার?
এতগুলো প্রশ্ন করার মুল উদ্দেশ্য আপনাদেরকে এটা বলা যে সকল প্রকার পেশাজীবি ই মুলত ফ্রিল্যান্সার যারা কারো অধিনে না কাজ করে বরংস্বতন্ত্রভাবে নিজের স্কিল বা দক্ষতার মাধ্যমে কাজ করে উর্পাজন করেন তারা সবাই ফ্রিল্যান্সার।
ফ্রিল্যান্সি অনলাইন বা অফলাইন দুইভাবে ই করা যায়। আপনার কোন একটি বিষয়ে দক্ষতা / স্কীল থাকতে হবে এটা প্রযুক্তি হতে পারে একাউন্টিং এর মত যে কোন কিছু হতে পারে। এমনকি বিভিন্ন বিষয়ে লিখতে পারা ও। উন্নত দেশগুলোতে তো ফ্রিলান্স ফটোগ্রাফার, নিউজ রির্পোটার, রাইটার, একাউন্টেন্ট ইত্যাদি। এর জন্য আপনার কোন ইনিশিয়াল ইনভেষ্টমেন্ট দরকার নেই তবে অবশ্যই কোন না কোন বিষয়ে দক্ষতা লাগবে।
এফলিয়েট মার্কেটিং
এফলিয়েট মার্কেটিং হল অন্যের সেবা বা প্রডাক্ট আপনি আপনার রেফারেন্স এর মাধ্যমে বিক্রি হতে সাহায্য করবেন এবং তার বিনিময়ে আপনি কমিশন বা উপাজর্ন করবেন। এই কাজটি ও অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবে ই করা যায়। ধরে নিন আপনার একটি ওয়েব সাইট আছে বা ফেইসবুকে একটি কমিউনিটি আছে অথবা আপনি ইউটুবার যেখানে আপনি কোন সেবা বা পন্য এর রিভিউ দিচ্ছেন বা আপনার কমিউনিটির লোকেদের ঐ বিষযে তথ্য দিচ্ছেন যেখানে আপনার জন্য একইট ইউনিক কোড রয়েছে যখনই কেউ আপনার কোড ব্যবহার করে ঐ সেবা বা পন্য ক্রয় করবে সাথে সাথে আপনি একটি নিদর্িৃষ্ট পরিমান কমিশন পাবেন। এটা আমাদের পার্শবর্তী দেশ ভারতে অনেক জনপ্রিয় জীবিকার মাধ্যম যেমন অনেকেই এমাজন, আলিবাবা, মাইক্রোসফ্্ট সহ অনেক কোম্পানীর হয়ে এফলিয়েট মার্কেটিং করেন। এই কাজের জন্য কোন ইনিশিয়াল ইনভেষ্টমেন্ট দরকার হয় না।
গুগল এডসেন্স প্রোগ্রাম
গুগল বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন যা গড়ে প্রতিদিন ৩৫০ কোটি সার্চ রেজাল্ট প্রডিউস করে। বর্তমান ডিজিটাল যুগে বিজ্ঞাপনের অনেক বড় সেক্টর হল গুগল। গুগল এর মাধ্যমে ও আপনি চাইলে নিয়মিত উপার্জন করতে পারেন।
- ইউটিউব: আপনি জিমেইল একাউন্ট ব্যবহার করে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করলেন এবং সেখানের পলিসি ফলো করে আপনার ভিডিও আপলোড করলেন। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ১০০০ সাবস্ক্রইবার ও ৪০০০ ঘন্টা আপনার ভিডিও এর ওয়াচ টাইম হলে গুগল আপনার চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু করবে এবং আপনি সেই বিজ্ঞাপন থেকে উপাজর্ন করতে পারবেন। এর জন্য ইনিশিয়াল কোন ইনভেস্টমেন্ট দরকার হয় না।
- ওয়েবসাইট: আপনার নিজের একটি ওয়েব সাইট আছে যেখানে প্রতিদিন কেউ না কেউ ভিজিট করে এবং আপনি এই সাইটটিকে গুগল এডসেন্স প্রোগ্রামের জন্য এপ্লাই করেছেন যদি সব ঠিক থাকে তাহলে গুগল আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু করবে এবং সেখান থেকে আপনি উপার্জন করতে থাকবেন। বর্তমান সময়ে একটি কাস্টম ডোমেইন দিয়ে ওয়েব সাইট বানানোর জন্য আপনার ইনিশিয়াল ইনভেষ্টমেন্ট লাগবে মাত্র ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা মাত্র।
ডিজিটাল মার্কেটিং:
এট কাজটি আমাদের দেশে আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা লাভ করছে। আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন ফেইসবুক এ অনেক পেইজ আছে যাদের হয়ত কোন কোম্পানি রেজিট্রেশন নেই, নেই কোন ট্রেড লাইসেন্স। অনেক পেইজ আছে এক ব্যাক্তি দ্বারা পরিচালিত, তারা যে সকল সেবা দেয় তা হলো ফেইসবুক পেইজ লাইক, পোষ্ট বুস্ট, প্রমোশন ্ইত্যাদি। এবং এই সেবার বিনিময়ে তারা র্সাভিসচার্জ নেয়।
আমাদের দেশের অনেক যুবকই এই কাজের মাধ্যমে খুব ভালো ভাবে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। এবং এই কাজের জন্য কাজ জানার পাশাপাশি আপনার সামান্য কিছু বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে।
এরকম আরোও অনেক মাধ্যম আছে যার মাধ্যমে চাইলেই যে কেউ খুব ভালো ভাবে তার জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে। এবং সবচেয়ে মজার ব্যপার হলো সবগুলো কাজই চাইলে আপনি ফুল টাইম করতে পারেন অথবা অন্য কাজের পাশাপাশি পার্ট টাইম ও করতে পারেন।
যার জন্য প্রয়োজন শুধু মাএ আপনার স্বদইচ্ছার। চিন্তা করুর চাকুরীর সন্ধান করে চাকুরী না পেয়ে বেকার থাকবেন না কি স্বনির্ভর হবেন। মনে রাখবেন চাকুরী করলে আপনার উপাজর্ন অন্যের ইচ্ছার অধীন সারা জীবনই থাকবে।
নিজেকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে যোগ দিতে পারেন আমাদের অনলাইন কোর্সগুলোতে; আর চাইলেই বদলাতে পারেন আপনার জীবন ও জীবিকা।
Why do we all look for a job all the time for a living? Is it the only way to earn a livelihood? Or this is just a mental barrier created and imposed upon us by the failed education system or our Family and our culture.